সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনিয়ম-দুর্নীর্তির সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহারের পর মারপিট ও চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিলেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমেনা পারভীন পারুল। পরে মামলা রেকর্ডভুক্ত হওয়ার আগে তুলেও নেন তিনি।
১২ নভেম্বর মঙ্গলবার এশিয়ান টেলিভিশন ও রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার রিপোর্টার রাব্বি হাসান হৃদয়, দৈনিক সরেজমিন বার্তার রিপোর্টার মুকুল হোসেন ও একুশের বাণী পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আজিজুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে কাজিপুর থানায় একটি মিথ্যা ও বানোয়াট কথাবার্তা লিখে লিখিত এজাহার দেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমেনা পারভীন পারুল। এঘটনায় জেলার গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক নিন্দা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হলে মামলাটি রেকর্ডভুক্ত হওয়ার আগেই নিষ্পত্তি করে ফেলেন তিনি।
জানা যায়, ১১ নভেম্বর সোমবার অনিয়ম এবং দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহের জন্য এশিয়ান টেলিভিশনের কাজিপুর প্রতিনিধি রাব্বি হাসান হৃদয়, সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম ও মুকুল হোসেন কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। এসময় রোগীর সাক্ষাৎকার গ্রহণের সময় অতর্কিতভাবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমেনা পারভীন পারুল, মেডিকেল অফিসার জাকারিয়াসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকর্মীদের উপর হামলা করে এবং তাদের সাথে থাকা বুম (মাইক্রোফোন), ক্যামেরা স্ট্যান্ড নিয়ে ভেঙে ফেলে।
এ ঘটনায় স্থানীয় এবং জাতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে হামলার ঘটনা এবং কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা শুরু হয়। পরে কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমেনা পারভীন পারুল আসল ঘটনা আড়াল করার জন্য পরদিন উল্টো তিন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কাজিপুর থানায় মারপিট ও চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরদিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমেনা পারভীন পারুল মামলাটি তুলেও নেন।
এ বিষয়ে কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম জানান, মামলা রেকর্ডভুক্ত হওয়ার আগেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমেনা পারভীন পারুল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলেন। এজন্য আপাতত বন্ধই রয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে মোমেনা পারভীন পারুলের সাথে যোগাযোগের জন্য বারবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।