1. info.shironamnews@gmail.com : NEWS TV : NEWS TV
  2. info@www.shironamnews.live : Shironam News :
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৫ অপরাহ্ন

চার মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় অচল ফরিদুল

রাব্বি হাসান হৃদয়
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৭২ বার পড়া হয়েছে

দুই বছর আগে জীবিকার সন্ধানে ভ্যান নিয়ে বের হয় ফরিদুল ইসলাম। গাড়ীতে বড় বড় গাছের গুল নিয়ে যাচ্ছিল সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পিপুলবাড়ীয়া বাজারে। গাড়ী থেকে গাছের গুল নামাতে অসাবধানতাবশত একটি গুল তার মাজার উপর পড়ে যায়। শুধু তাই নয় একটি ইটের খোয়া তার মাজার নীচে পড়ে যাওয়ায় মাঝা ফেটে যায়। গ্রামবাসীর সহায়তায় চিকিৎসা করালেও সুস্থ হয়নি ফরিদুল ইসলাম। সংসারে উপার্জনক্ষম অন্য কোন ব্যক্তি না থাকায় ৩০ বছর বয়সী ভ্যানচালক ফরিদুল কর্মক্ষমতা হারিয়ে স্ত্রী ও চার কন্যা নিয়ে মানবেতর যাপন করছেন। পঙ্গুত্ববরনকারী ফরিদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের সড়াতৈল গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে।

পঙ্গু ফরিদুল ইসলাম জানান, দুই বছর আগে ফরিদুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত ভ্যান গাড়িতে গাছের গুড়ি বোঝাই করে পিপুলবাড়িয়া বাজারে যায়। সেখানে ভ্যান থেকে গাছের গুড়ি কাধে করে নামাতে গিয়ে অসাবধানতাবশত একটি গাছের গুড়ি তার উপর পড়ে যায়। এতে তার মেরুদন্ড, বাম পা ভেঙে যায় এবং পিঠের নিচের অংশ মাজার ভিতর একটি ধারালো ইটের টুকরো ঢুকে পড়ে। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডাক্তার না থাকায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দেড় মাস চিকিৎসা করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

পরে আবারো ফরিদুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দেড় মাস চিকিৎসা করানোর পর অর্থের অভাবে তাকে বাড়িতে ফেরত নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তার দুই পা চিকন হয়ে যাওয়ায় চলাচল করতে পারছেন না ফরিদুল। পিঠের নিচের অংশে বড় একটি ঘা নিয়ে দিনদিন তার অবস্থার অবনতি হচ্ছে। অন্যদিকে, কোন আয়-রোজগারের ব্যবস্থা না থাকায় তার পরিবারকে নিয়ে অসহায় জীবন-যাপন করছেন ফরিদুল ইসলাম। চার কন্যা সন্তানকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন সে। তাকে যদি কেউ একটি দোকানের ব্যবস্থা করে দিতো তবে পরিবার নিয়ে দুমুঠো ভাত খেয়ে বেচে থাকত। এ অবস্থায় সরকার ও বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন তিনি।

ফরিদুলের অবুঝ শিশু কন্যা বলছেন, বাবা পঙ্গু হয়ে গেছে। আমাদের সদাই খেতে একটা টাকাও দিতে পারে না। আমরা খুব কস্টে দিন পার করছি।

ফরিদুলের বাবা বলছেন, ছেলে ভ্যান চালিয়ে আয় রোজগার করে ৪ মেয়ে ভালই চলছিল। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা ছেকে অচল করে দিয়েছে। একদিকে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না অন্যদিকে পরিবার নিয়ে দুমুঠো ভাত খেয়ে বেচে থাকাও দায় হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় চিকিৎসা ও সংসারের চালানোর জন্য সহায়তা কামনা করেছেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© www.shironamnews.live
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট