জন্ম থেকেই দুই পা অকেজো সবুজের। তাইতো বাধ্য হয়েই দুই পায়ের কাজ করতে হয় দুই হাত ব্যবহার করে। এমন প্রতিবন্ধকতার মাঝেও জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অদম্য ইচ্ছা ১০ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী সবুজের। লেখাপড়া শেষ করে সিআইডি অফিসার হয়ে বাবা-মায়ের সেবাযত্ন করার স্বপ্ন দেখেন সবুজ।
সবুজের প্রতিবেশীরা বলছেন, স্বাভাবিক মানুষের মতো পা না থাকায় পায়ের চাপটা নিতে হয়েছে সবুজের কোমল হাতে। গোটা শরীরের ভর তার হাতের তালুতেই। তবুও থেমে নেই তার পথচলা। তবে পাকা রাস্তার উপর দিয়ে দুই হাতে ভর করে অনেকটা কষ্ট করেই যাতায়াত করতে হয় সবুজকে। প্রতিবন্ধী সবুজের সফলতার জন্য আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন বলেও জানান তারা।
ছেলে প্রতিবন্ধী হলেও মেধার সুনামে গর্ববোধ করেন সবুজের দিনমজুর বাবা। সরকারী সহায়তা পেলে তার আদরের ছেলে দখলে নেবে সিআইডি অফিসারের চেয়ার এমনটাই আশা করছেন তিনি।
শারীরিক প্রতিবন্ধী সবুজ কুমার মাহাতো সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের উটরা হাজীপুর গ্রামের সুফল মাহাতোর ছেলে। উপজেলার ক্ষিরতলা আদিবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া সবুজ অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী। সরকারী ও বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে সবুজের স্বপ্ন পূরণ হবে বলে মনে করেন শিক্ষক নজরুল ইসলাম।
জীবনের কাছে হার না মানা সবুজ চায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে তার মতো প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়াতে। নিজের পরিচয় তৈরির সাথে পরিবারের দারিদ্রতা দূর করতে।