কয়েকদিনের টানা বর্ষণ এবং ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে সৃষ্ট বাংলাদেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যাদুর্গত অঞ্চলগুলোয় গড়ে প্রায় ২৫ সেন্টিমিটার পানি কমেছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
খোয়াই, মনু এবং ফেনী নদীর তিনটি পয়েন্টে পানির স্তর ইতোমধ্যেই বিপৎসীমার নিচে নেমে গেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর যে তিনটি পয়েন্টে বর্তমানে বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে অন্তত দু’টিতে রোববার রাতের মধ্যে পানি কমে স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে বলে আশা করছেন তারা। এদিকে, পানি বেড়ে যাওয়ায় রোববার সকালে রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধের সবকটি গেট খুলে দিয়ে বিকেলে সেগুলো আবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
তবে, কাপ্তাই বাঁধের সবকটি গেট খুলে দেয়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে পানি বাড়লেও নতুন কোনো এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে, সোমবার বিকেলের মধ্যে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে চট্টগ্রামের বন্যাদুর্গত এলাকার কোথাও কোথাও অবস্থার অবনতির আশঙ্কা করছেন অনেকে। তবে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন করে বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতিতে কিছুটা ধীরগতি আসলেও অবনতির শঙ্কা খুব একটা দেখছেন না তারা।
কিন্তু বন্যার যে পানি মানুষের বাড়িঘরে উঠেছে, সেটি পুরোপুরি নামতে কতদিন লাগবে? বন্যা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশের অন্তর্বর্তী সরকারই-বা কতটুকু প্রস্তুত?
শিরোনাম/এইচ এইচ