সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার রাজকৃষ্ণপুর ইউনিয়ের ৫ নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবকদল নেতা হাদিসুরের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে চকনিহাল এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সুলতান মাহমুদ,শরিফুল,আলতাফ,হাকিম সহ ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ২৮ তারিখে হাদিসুর রহমান তার ভগ্নিপতিকে দেখতে হাসপাতালে যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জ রোডে পৌছালে সুলতান মাহমুদ এর নেতৃত্বে আব্দুল হাকিম, শরিফুল সহ ১০/১২ জন হাদিসুরকে মারধর করে জোরপূর্বক হাটিকুমরুল বাজারের একটি গ্যারেজে নিয়ে গিয়ে সেখানেও মারধর করে আটো ভ্যানে তুলে দেয়।
এ ব্যাপারে মারধরের শিকার হাদিসুর রহমান জানান, গ্রাম্য শালিশে আমাকে দিয়ে তারা জোরপূর্বক মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ানোর জন্য চেষ্টা করে সুলতান ও হাকিম। আমি মিথ্যা সাক্ষী না দেওয়ায় তারা অপমান অপদস্ত হওয়ায় আমি সিরাজগঞ্জ রোডে গেলে সেখান থেকে আল-আমিন, সুলতান, হাকিম সহ ১০ -১২ জন আমাকে মারধর করে গাড়িতে করে আবার হাটিকুমরুল বাজারে নিয়ে গিয়ে সেখানে মারধর করে অটোভ্যানে তুলে দেয়। আমি রক্তাক্ত হওয়ায় তারা আমার গেন্জি ও মুখ ও ধুয়ে পরিস্কার করে তারপর গাড়িতে তুলে দেয়। অন্যায় ভাবে আমাকে মারধর করা হয়েছে। বিষয়টি দলের সিনিয়র নেতারাও জানে। সুলতান আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে মেম্বার হয়েছিল।
এখন সে বিএনপির পরিচয় দিয়ে নিজের মন মর্জি মত দরবার শালিশ করতে চায়। এনিয়েই ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর হামলা চালায়। আমি প্রসাশনের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার আশা করছি।
এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য সুলতান মাহমুদ বলেন, একটা শালিশ নিয়ে গন্ডগল হয়েছিল। তাকে কেউ মারধর করেনি।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রবিউল ইসলাম জানান, আভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।