1. info.shironamnews@gmail.com : NEWS TV : NEWS TV
  2. info@www.shironamnews.live : Shironam News :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১২ পূর্বাহ্ন

৭ বছরের অপেক্ষা শেষে দেখা হবে মা-ছেলের

শিরোনাম ডেস্ক
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১২২ বার পড়া হয়েছে

চোখের কান্না চোখেই শুকিয়ে যিনি হাসেন তিনি হলেন মা। সন্তানের জন্য সর্বোচ্চ ছাড় দেয়া সেই মাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৭টি বছর। আজ যে মায়ের কথা বলছি তিনি আর কেউ নন দেশের বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। আগামীকাল লন্ডন যাচ্ছেন তিনি।

ওদিকে লন্ডনে মায়ের অপেক্ষায় রয়েছেন বড় ছেলে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান। দেখা হচ্ছে দীর্ঘ ৭ বছর পর।

মাঝখানে খালেদা জিয়ার ছোটো ছেলে ও তারেক রহমানের ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কোকো। সেই বেদনাও রয়েছে তাদের দুজনের মধ্যে। ভাইয়ের মৃত্যুতে পাশে থাকা বা একমাত্র ভাইকে শেষ দেখাটাও দেখতে পারেনি তারেক রহমান। এদিকে তারেক রহমানের সন্তানরাও বড় হয়ে গেছে। দীর্ঘ  সময় পর সশরীরে দাদী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে পাওয়া, সব মিলিয়ে যেন একটি আনন্দ ও আবেগঘন পরিবেশ।

একজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব। একাধারে তিনি একজন মমতাময়ী মাও। তিনি যেমন বার বার পরিচয় দিয়েছেন দেশের প্রতি, জনগণের প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসার। ঠিক তেমনি সন্তানের জন্যেও ভালোবাসার কম পরীক্ষা দেননি। ধরতে গেলে প্রায় ১৫টি বছর ছেলের থেকে একরকম দূরে থাকতে হয়েছে তাঁকে। কারণ দেশে ছেলে ফেরার নিরাপত্তা ছিলো না, ছিল মৃত্যু ঝুঁকি। সাথে জেল জুলুমতো আছেই।

অবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। লন্ডনের হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরই সরাসরি একটি উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে তিনি ভর্তি হবেন বলে জানিয়েছে দলটি। এর মাধ্যমে সাত বছর পর মায়ের সঙ্গে সশরীরে সাক্ষাৎ হবে ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের।

জানা গেছে, কাতার আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ ফ্লাইটে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টায় লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন মা খালেদা জিয়া। এরই মধ্যে সফরের সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। বিমানবন্দরে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা।

যাবার আগ মূহুর্তে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সব সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। জানা গেছে, তার সফর সঙ্গী হিসেবে থাকছেন, সাতজন চিকিৎসকসহ ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

সফর সঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. এনামুল হক চৌধুরী, তাবিথ মোহাম্মদ আওয়াল, ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিক, মো. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, নুরুদ্দীন আহমাদ, মো. জাকির ইকবাল, মোহাম্মদ আল মামুন, শরিফা করিম স্বর্ণা, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবিএম আব্দুস সাত্তার, মো. মাসুদুর রহমান, এসএম পারভেজ, ফাতেমা বেগম এবং রুপা শিকদার।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে কিছুদিন থাকার পর যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন খালেদা জিয়া। পরে সেখানকার মেরিল্যান্ডের পূর্ব বাল্টিমোরে অবস্থিত জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন তিনি। সে প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে।

লন্ডনে পৌঁছানোর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

চিকিৎসা শেষে দ্রুতই বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন, এমন আলোচনা এখন দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে।

এর আগে, চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। মাঝখানে যাত্রাবিরতি থাকায় ১৬ জুলাই বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে বেগম জিয়া লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

সে সময় বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান।

সেসময় লন্ডনে মা ও ছেলের এ সাক্ষাৎকালে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান উভয়ই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। নিজ গাড়িতে করে মা খালেদা জিয়াকে  নিয়ে যান তারেক রহমান।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি থাকার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয়। এরপর থেকে ৬ মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেত্রীর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার।

এমন অবস্থায় গত ৫ আগস্ট গণ আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে বিএনপি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© www.shironamnews.live
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট