ভোলার মনপুরায় এক ব্যবসায়ীর ছাগল চুরি করে দুই যুবদল নেতাসহ চক্রের পাঁচজনকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার সেহরির সময় উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের তালতলা বাজার থেকে রামছাগলটি চুরি করে নিয়ে যায় যুবদল নেতার নেতৃত্বে অপর চার সদস্য।

পরে সকাল ১০টায় ঘটনা জানাজানি হলেও স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে পুলিশসহ যুবদল নেতার বাড়ি থেকে ছাগলসহ যুবদল নেতাকে গ্রেফতার করে। পরে ওই যুবদল নেতার স্বীকারমতে অপর চার সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় চুরি হওয়া ছাগল মালিক চা ব্যবসায়ী সফিজল বাদী হয়ে আটককৃত পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান ওসি আহসান কবির।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের যুবদলের নেতা হুমায়ন মিঝি ও রিপন সর্দার, উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামের ফিরোজ রাঢ়ী, মনির রাঢ়ী ও রাজিব। তারা সবাই স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

ঘটনা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তালতলা বাজারের চা ব্যবসায়ী শখ করে বাজারে রামছাগল পালতেন। সোমবার ভোররাতে দোকান থেকে সেহেরি খেতে বাসায় যান ওই ব্যবসায়ী। এই সময়ে সংঘবদ্ধ চক্রটি রামছাগলটিকে বাজার থেকে চুরি করে নিয়ে যায়। পরে সকালে ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয়রা যুবদল নেতা হুমায়ন মিঝির বাড়ি থেকে ছাগলসহ আটক করে। পরে ওই যুবদল নেতার স্বীকারোক্তিতে চক্রের অপর চার সদস্য আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে বিকাল সাড়ে ৫ টায় মনপুরা থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন চা ব্যবসায়ী সফিজল।

উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শামসুদ্দিন মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি দেখেছি। হুমায়ন মিঝি নামে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে কোনো যুবদল নেতাকর্মী নেই। তার মনপুরা উপজেলা যুবদলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। এসব অপকর্ম যারা করে তাদের সঙ্গে মনপুরা উপজেলা যুবদলের সম্পর্ক নেই।

তিনি জানান, মনপুরা উপজেলা যুবদলের প্রতিটি ইউনিয়নের কমিটি ভেঙে দিয়েছি। এ ঘটনায় মনপুরা উপজেলা যুবদল উপজেলা তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান।

মনপুরা থানার ওসি আহসান কবির জানান, সংঘবদ্ধ চোর চক্রটিকে ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছাগলসহ চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। ছাগল মালিক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।