1. info.shironamnews@gmail.com : NEWS TV : NEWS TV
  2. info@www.shironamnews.live : Shironam News :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন

নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিলেন স্থানীয়রা

আরিফুল ইসলাম, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে খুটিগাছা সরকারি প্রাথমিক  বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় স্থানীয়দের বাধায় কাজ বন্ধ করা হয়েছে।

এদিকে নতুন ভবন নির্মাণের শুরুতে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ খুঁড়ে মাটি নিয়ে বিদ্যালয়ের নিচু অংশে ফেলা হয়। যা এখনো ভরাট করে দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও খুটিগাছা গ্রামবাসীর মাঝে ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় খুটিগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। তিন তলা ফাউন্ডেশনের এ ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় কোটি টাকা।

খুটিগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক শিক্ষক সমিতির (পিটিএ) সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট ও বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা ঠিকাদার মেসার্স আনিকা টেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. বজলুর রহমান ও তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী বাবুল আখতারকে অভিযোগ করেছি। পরে খুটিগাছা গ্রামের সাধারণ লোকজন নির্মাণ কাজে বাধা দেয়। (১০ মার্চ) সোমবার থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে।

দেশীগ্রাম ইউনিয়নের ছোট মাঝদক্ষিণা গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও ছাদেক আলী নামে বিদ্যালয়ের দুইজন নির্মাণ শ্রমিক বলেন, নিম্নমানের ইট দিয়ে কিছু কাজ করা হয়েছে। পরে লোকজন বাধা দিলে অবশিষ্ট ইট বিদ্যালয়ের পুরান ভবনের সামনে রেখে দেওয়া হয়েছে। বালুর মানও খুব খারাপ। ঠিকাদার খারাপ বালুর উপর ভালো বালু ফেলেছে। আমরা খারাপ বালুর সাথে ভালো বালু মিশিয়ে কাজ করছি।

বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, তদারকি কর্মকর্তা বাবুল আখতারের সাথে যোগসাযোস করে বিদ্যালয় ভবনের যেটুকো নির্মাণ কাজ করা হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা বিল তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার মো. বজলুর রহমান।

মেসার্স আনিকা টেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. বজলুর রহমান বলেন, নিম্নমানের ইট ও বালু ব্যবহার করা হবে না। ইতোমধ্যে ইট সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বিদ্যালয়ের মাঠের গর্তে মাটি ভরাটের জন্য ছয় হাজার টাকা দিয়েছি মাঠ কমিটিকে।

অপরদিকে খুটিগাছা গ্রামের বাসিন্দা ও তাড়াশ পৌর বিএনপির ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি রেজাউল করিম শিল্পি বলেন, ছয় হাজার টাকা দিয়েছেন। কমপক্ষে আরো ১৫ হাজার টাকা লাগবে মাটি ফেলতে। বিদ্যালয় ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও খেলার মাঠের গর্ত ভরাট করে না দেওয়ায় গ্রামবাসী চরম ক্ষোভে রয়েছেন।

তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী বাবুল আখতার বলেন, বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। মাঠের গর্ত ভরাটের জন্য ঠিকাদারের ১৮ হাজার টাকা দেওয়ার কথা মাঠ কমিটিকে।

খুটিগাছা গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে ও সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্র শিহাব ইসলাম বলেন, তাড়াশ পৌর এলাকার কোথাও খেলাধূলার উপযুক্ত মাঠ নেই। প্রায় সব ধরনের টুর্ণামেন্টের আয়োজন করা হয় খুটিগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে। রমজানের ঈদের পরের দিন এক দিনের ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। গর্ত ভরাট করে না দিলে খেলাধূলা করা সম্ভব না এ মাঠে।

খুটিগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিলিমা মোহন্ত বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজে অতি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। খেলার মাঠে গর্ত করে রাখা হয়েছে। ঠিকাদার ও তদারকি কর্মকর্তা কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। পরে বিদ্যালয়ের পিটিএ সভাপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সব কাজ ঠিকঠাক বুঝে নেওয়ার জন্য।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুসাব্বির হোসেন বলেন, ইটের বিষয়ে জেনেছি। আমি কথা বলার পর নিম্নমানের ইট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজুলল হক বলেন, বিদ্যালয় ভবন নিমার্ণে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হলে সেই অংশ ভেঙে ভাল ইট দিয়ে পুনরায় নির্মাণ কাজ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে বলে দিচ্ছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© www.shironamnews.live
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট